You are currently viewing আমাজন বনেই শুধুমাত্র যে সব প্রানীদের দেখা মিলে

আমাজন বনেই শুধুমাত্র যে সব প্রানীদের দেখা মিলে

পৃথিবীর অন্যতম রেইন ফরেস্ট হল আমাজন রেইন ফরেস্ট। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন এবং সমগ্র পৃথিবীর আবহওয়া এবং জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। আমাজন বনের কারনে সমগ্র জীবজগতে প্রায় ৬% অক্সিজেন সরবারহ করে। এই বন যতদিন এমন অক্ষত থাকবে ততদিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পরিবেশ ভারসাম্য বজায় থাকবে।



কিন্তু বর্তমানে অনেকেই এই বন কিংবা এর কিছু অংশ উজাড় করার কাজে লেগেছে। অথবা প্রাকৃতিক কারনে মাঝে মাঝে এই বনে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে যা বনের আকার কমাতে কিংবা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপর প্রভাব বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমাজনের রেইন ফরেস্ট ব্রাজিল সহ আশেপাশের অন্যান্য দেশজুড়েও বিস্তৃত।

আমাজন বন
ছবিঃ আমাজন রেইন ফরেস্ট

আমাজন বনঃ

আমাজন রেইন ফরেস্টে যেমন প্রানীর সংখ্যা কমতি নেই তেমনি ভাবে বৃক্ষের সংখ্যারও কমতি নেই। এই বনে এমনও বৃক্ষ আছে যেগুলো মাটি থেকে ২০০ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। একই সাথে এত লম্বা গাছ হওয়ার কারনে এই বনে অনেক জায়গায় সূর্যের আলো পৌছাইতে পারে না। যে কারনে এই বনের মাটির সংলগ্ন অনেকটা অন্ধকার থাকে।



এই বনে কিভাবে টিকে থাকতে হয় তা বেয়ার গ্রেইল তার বিভিন্ন পদ্ধতি দেখিয়েছে। এই বনে যদি আপনি হারিয়ে যান তাহলে যে কোন ফাকা উন্মুক্ত স্থানে এসে আগুন লাগালে সেখান থেকে নির্গত ধোয়া দেখে এয়ার সাপোর্টের মাধ্যমে আপনি বেঁচে ফিরতে পারে। এই অঞ্চলে কি কি ধরনের প্রানীদের সাথে দেখা হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আমাজনের ডলফিনঃ

আমাজন নদীতে যতসব প্রানি বাস করে থাকে তাদের মধ্যে গোলাপী বর্নের বা pink Dolphin হল মিঠা পানির ডলফিন। অন্যান্য যে কোন ডলফিনের চেয়ে এদের নাক অনেক লম্বা প্রকৃতির এবং দেখতে বাকি সব থেকে আলাদা প্রকৃতির। তবে লম্বা নাক বিশিষ্ট হাজার হাজার প্রানীদের মধ্যে এরা উল্লেখযোগ্য। এদের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। এই কারনে এরা বিপন্ন প্রজাতির প্রানীদের তালিকায় উঠার সম্ভবনা আছে। হিংস্র প্রজাতির কিছু মাছ আছে যারা এই ডলফিনদের শিকার করে থাকে। কিন্তু এই ডলফিনগুলো মাছের খাদ্যের ভাণ্ডার ধ্বংস করে থাকে।

ডলফিন
ছবিঃ গোলাপি ডলফিন



আমাজন বন এর প্রানীঃ

বিলুপ্ত প্রায় আমাজনের প্রানিদের মধ্যে এরা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করেছে। আমাজন বনের প্রত্যান্ত অঞ্চলের এদের দেখা পাওয়া যায়। শিকারীদের কারনে এদের সংখ্যা যেমন কমে আসছে। এদের দেখতে কিছুটা বেজির মত। এরা উচ্চ স্বরে শব্দ করে থাকে। এই প্রানীকে অটার নামে সবাই চেনে। বেজির সাইজের চেয়ে আকারে অনেক বড় হওয়াই এদের নামের সাথে জায়ান্ট যুক্ত হয়েছে।

বন্য প্রানী
ছবিঃ ওটার

টাকলা উখারিঃ

আমাজনের স্তন্যপায়ী প্রানীদের মধ্যে এরা উল্লেখযোগ্য প্রকৃতির। এদের দেখতে বানরের মত যা গাছে বাস করে থাকে।এদের মাথা টাক হওয়ার কারনে ফেস লাল প্রকৃতির। এই অবস্থায় এরা দাঁত বের করে হাসি দিলে শয়তানি বুদ্ধি মাথায় কাজ করছে। এরা বাদাম এবং গাছের ফলমূল খেয়ে বেঁচে থাকে। মাঝে মাঝে এরা মানুষকে ধাওয়া করে থাকে তাদের খাবার নেওয়ার জন্য।

বানর
ছবিঃ টাকলা বানর

ধূসর উল বানরঃ

আমাজনের যে অঞ্চলে ধোয়া কুয়াশা দেখা মিলে সেই সব অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। পেরুর এবং ব্রাজিলের নির্দিষ্ট কিছু  অঞ্চলে ১৮-২৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। প্রাচীন কালে এই সব পোষা প্রানী গুলোর অবৈধ বানিজ্যের চোরচালানের সাথে সাথে সাধারন মানুষের বাচ্চাও কিডন্যাপ হত।


আমাজনের উড়ন্ত সুন্দর পাখি গুলোর সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন

আমাজন বন এ বানর
ছবিঃ উল বানর



গোল্ডেন লায়নঃ

সিংহ পশুর রাজা। সিংহের অন্যান্য প্রানীর সাথে কোন তুলনায় হয় না। সাধারনত সিংহ ফ্যাকাশে কালারের হয়ে থাকে। তবে আমাজনে এদের গোল্ডেন মারমোসেট বলা হয়। রেইন ফরেস্টের অঞ্চলগুলোতে আস্তে আস্তে ইন্ডাজস্ট্রিয়ালিস্ট এরিয়া এবং একটি কৃষি জমির রূপ নেওয়ার এই সব প্রাইমেট বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এরা প্রকৃত অর্থে সিংহ নয় তবে এদের ঘাড়ে সিংহের মত কেশর থাকার কারনে এদের দেখতে সিংহের মত লাগে।

সোনালি সিংহ
ছবিঃ মারমোসেট

পরিশেষে, আমাজন বনের প্রানিদের সংখ্যা দিন দিন কমছে না বরং বাড়ছে। এর একমাত্র কারন হচ্ছে আমাজন বন আকারে অনেক বড় হওয়াই এর সম্পর্কে এক বারে জেনে শেষ করে করা সম্ভব নয়। প্রানীদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের লেখা ভালো লাগলে আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তা শেয়ার করুন। পশুপাখিদের সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন


Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।