আমাদের প্রানীজগতে মিলিয়ন সংখ্যক রহস্যময় ও জাকজমক পূর্ন পশুপাখি রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু হাস্যকর প্রানী প্রজাতি রয়েছে। আমরা যতদূর চিন্তা প্রাণী গুলো তার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান। সবুজ বনভূমি হতে সাগরের নীল জলরাশির অতল গহ্বর পর্যন্ত এসব সুন্দর প্রানীর বিচিত্র কীর্তিকলাপ আপানাকে হাসিয়ে ছাড়বে। নিচে এসব প্রাণী সম্পর্কে দেওয়া হলঃ
১।কাঠবিড়ালিঃ
এরা দেখতে ছোট হলেও পরিবেশে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তাদের এ ভূমিকা এত বড় আকারে এবং এত সহজভাবে পালন করে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এরা শত শত বৃক্ষ জন্ম দেয় ।খাবারের বীজ মাটীতে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়ায় এমনটা হয়। তারা এ ধরনের কাজে কোন রকম প্রতিদান এর আশা রাখে না। এ সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
২। ড্রাগনফ্লাইঃ
এদের জীবন চক্রে বিভিন্ন পর্যায়ের শারীরিক বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। তাদের মিলনের সময় লেজ দ্বারা “হার্ট আকৃতির” শেপ তৈরি করে। এমনকি তারা তাদের জীবন-সঙ্গির নিকট বিভিন্ন উপায়ে ভালোবাসা প্রাকাশ করে থাকে। হার্ট শেপ তৈরি করা তদের সত্যিকারের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
৩।ইঁদুরঃ
মানুষকে সুড়সুড়ি দিলে যে কেউ হেসে ফেলায়। কিন্তু একটি গবেষনায় দেখা গেছে ইঁদুরকে সুড়সুড়ি দিলে তারা হাসে। বাস্তবে তারা এটিকে অনেক এনজয় করে। ইঁদুরের কমরে সুড়সুড়ি দিলে তারা উচ্চ শব্দে হাসতে থাকে।
৪। হাঁসঃ
এরা পানিতে ভাসতে পছন্দ করে। পুকুর বা জলাশয়ে এরা ছোট ছোট ঢেউ কে ধরতে পছন্দ করে। অনেক সময় তারা ঢেউ এর উপর দাঁড়িয়ে যায়। পশুপাখি সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
৫। শিম্পাঞ্জিঃ
মানুষ মাতাল হলে যেমন আচরন করে এরা স্বাভাবিক অবস্থায় তেমন আচরণ করে। মানুষের সাথে এদের এই এক জায়গায় মিল রয়েছে। মানুষের মত এরা প্রাকৃতিক অ্যালকোহল অনুসন্ধান করে। বিজ্ঞানীরা এ আচরন “মাতাল বানরের হাইপথিসিস” বলে। এরা মানুষের সাথে এমন করে থাকে। এদের অনেক বেশি হাস্যকর ছবি রয়েছে।
৬। বিড়ালঃ
এরা আমাদের পাশে অধিকাংশ সময় থাকতে পছন্দ করে। তারা প্রায়ই “ম্যাও” করে ডাকে। গবেষনায় ,এটি মানুষ এবং বিড়ালের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিড়ালের বাচ্চারা তাদের মা কে যেভাবে ডাকে ঠিক সেভাবে অন্য কোন বিড়াল ডাকতে পারে না। করোনা ভাইরাস প্রকোপের সময় এমন ছবি যেমন সতর্কতার মেসেজ দেয় তেমনি কিঞ্চিত হাস্যকর ছবি বলে অনেকের মনে হয়।
৭। হাতিঃ
মানুষের সন্তানের মত ছোট হাতির বাচ্চাগুলো অনেক আনন্দ দেয়। ছোট বাচ্চারা প্রায়ই তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি চুষতে থাকে। বাচ্চা হাতির বৃদ্ধাঙ্গুলি না থাকলেও তারা তাদের শূড় নাড়াতে স্বাচছন্দ্যবোধ করে। এমন সুন্দর দৃশ্য স্ব-চক্ষে দেখতে কার না ভাল লাগে!!! হাতি নিয়ে আরও জানতে ক্লিক করুন
৮। অক্টোপাসঃ
সমুদ্রের নিচে অনেক রহস্যময় প্রাণী রয়েছে যা সমুদ্রের তলদেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে দৈত্যাকৃতির অক্টোপাস অনেক আকর্ষনীয়। এদের শরীরে তিনটি হৃদপিন্ড, নয়টি মস্তিষ্ক, নীলরক্ত রয়েছে। এগুলো বৈশিষ্ট্য অন্য সব প্রাণী হতে আলাদা করেছে। একটি প্রধান মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রন করে। বাকি আটটি ছোট মস্তিষ্ক আটটি হাতকে নিয়ন্ত্রন করে। বিপদে পড়লে তারা ছদ্মবেশ ধারন করে এবং শত্রুকে চিহ্নিত করলে বিষাক্ত পদার্থ ছুড়ে দেয়। এভাবে তারা নিজেদের আত্মরক্ষা করে।
৯। সী-হর্সঃ
পৃথিবীর অন্যসব প্রানিদের মধ্যে এরা একটু আলাদা। পুরুষ প্রজাতির সী-হর্স একমাত্র ব্যতিক্রম যারা গর্ভধারন করতে পারে এবং বাচ্চা জন্ম দেয়। এরা এদের পেটের থলিতে একসাথে ২০০০ বাচ্চা বহন করে।
১০। পেঙ্গুইনঃ
পেঙ্গুইনরা মানুষের মতই একে-অপরকে প্রপোজ করে। একে-অপরের সাথে আংটি বদল করে। তবে পার্থক্য এটাই যে, তারা আংটির বদলে পাথর আদান-প্রদান করে। কোন স্ত্রী পেঙ্গুইনকে দেখে পুরুষ পেঙ্গুইন পছন্দ করলে তারা জীবনভর এক সাথে থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এ প্রতিশ্রুতির নিদর্শন হল এ পাথর। এদের কর্মকান্ড গুলো হাস্যকর হয়। পেঙ্গুইন সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন