গৃহপালিত প্রাণী দের মধ্যে সুন্দর হাঁস অন্যতম। এরা অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির এবং সহজে অন্য প্রাণীর ক্ষতি করে না। আমরা বিভিন্ন কথা বলার সময় হাঁস-মুরগি একই সাথে উচ্চারণ করে থাকি। কেননা আমাদের দেশে গ্রামে এই দুটি প্রাণী সবচেয়ে বেশি পালন করা হয়। বাসা বাড়িতে যে কেউ এদের পালন করতে পারে বলে এদের গৃহপালিত প্রাণী বলা হয়।
দরিদ্র যে কোন ব্যক্তি হাঁস-মুরগী পালন করে নিজের জন্য ছোটখাটো একটা আইয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। হাঁস এবং মুরগির ডিম দেয় এবং সেই ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এই ডিম বাজারে বিক্রি করে অনেক মানুষের অর্থ উপার্জন করে। আবার এই হাঁস-মুরগি বাজারে বিক্রি করা হয়। এদের মাংস যেমন তেমনি শরীরের জন্য উপকারী। গ্রামের হাটগুলোতে গ্রামীণ ব্যক্তিরা তাদের পালিত হাঁস মুরগি বিক্রির জন্য নিয়ে আসে।
এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে হাঁস-মুরগী পালন করে খামারি গান যেমন লাভবান হয় তেমনি বিরাট অংশে চাহিদা পূরণ করে। তবে কিছু অসৎ ব্যক্তি অল্প সময়ে হাঁস-মুরগি বড় করার জন্য কিছু ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে যা হাঁস কিংবা মুরগির জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি সেই হাঁস-মুরগির যদি মানুষ খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীরের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আজকে আমরা কয়েক ধরনের বিদেশী হাঁসের প্রজাতি সম্পর্কে জানব। এবং কোন ধরনের প্রজাতি সবথেকে বেশি ভালো হবে তা বুঝার চেষ্টা করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ড্যবেলিং হাঁসঃ
অন্যান্য প্রজাতির হাঁস আছে এরা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এদের কিছু কর্মকান্ড মানুষকে বিমোহিত করে। স্বাভাবিকভাবেই হাঁসের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই পানিতে ভাসমান অবস্থায় এরা পানির নীচে ডুব দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে থাকতে পারে। কিন্তু ড্যাবেলিং প্রজাতির হাঁস পানির নিচে ডুব দিয়ে সর্বদা খাড়া হবে থাকে এবং তার সম্পূর্ণ শরীর দেখতে অনেকটা ফুলের কলির ন্যায় দেখায়।এদের কাদা এবং ঝোপঝাড়ে আশেপাশে মুক্ত জলাশয়ে দেখা মেলে। এদের গলার আওয়াজ এর কারণে এতে এমন নামকরন করা হয়েছে।
ড্রাইভার হাঁঁসঃ
অন্যান্য প্রজাতির হাঁস এর চেহারা খাবারের সন্ধানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে থাকে। এজন্য এরা দূরদূরান্ত পর্যন্ত যাত্রা করে। এ কারণে এদের ড্রাইভার হাঁস বলা হয়। অন্যান্য হাঁসগুলির চেয়ে এরা অনেকটা কর্মতৎপর এবং যেমন কর্মট তেমন শক্তিশালী হয়। এদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পানিতেই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
সুন্দর হাঁসঃ
সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির মনোমুগ্ধকর হাঁস গুলোর মধ্যে এরা উল্লেখযোগ্য। এদের দক্ষিণ আর্কর্টিক অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন। এমন সুন্দর দেখতে হওয়ার পরও এদের পালক গুলো এদেরকে উক্ত অঞ্চলে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে। আপনাকে এই হাঁসটি কেমন লাগলো তা জানাতে কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্য শেয়ার করতে পারেন।
গোল্ডেন আইঃ
এ হাঁসগুলো ওর চোখ এর আশেপাশে হলুদ বর্ণের বৃত্তাকার অঞ্চল থাকে। এ কারণে এদের এমন নামকরণ করা হয়েছে। অনন্য হাঁসের চেয়ে এদের মাথা আকারে বড় হওয়ায় এরা অনেক গভীররাত দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যাইতে পারে। এরা যে অঞ্চলে বাস করে তার আশেপাশে যদি কোন গাছ থাকে তাহলে মাঝেমধ্যে গাছের ডালেও এদের দেখা মেলে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এদের শরীরের ক্যামোফ্লাজ গাছের সাথে মিলে যায় এই কারনে আলাদাভাবে বোঝা যায় না। এ পর্যন্ত এই ধরনের শুধুমাত্র দুই প্রজাতির গোল্ডেন আই হাঁসের দেখা পাওয়া গিয়েছে।
মার্গেনসারঃ
এরা আকারে ছোট এবং সমান্তরাল পানির স্রোতে বসবাসকারী হাঁস সমূহ। সহজ কথায় যেসব প্রাণী অশান্ত বা কিছুটা ঘূর্ণি প্রকৃতির সেসব অঞ্চলের দেখা পাওয়া যায় না। এরা অন্যান্য ছোট এবং এদের মাথা অত্যন্ত মোটা। অন্যদের ঠোঁট চ্যাপ্টা হলেও এদের ঠোঁট কিছুটা তীক্ষ্ণ প্রকৃতির চ্যাপ্টা। এরা দৈনিক মাছ কিংবা মাছের মতো অন্যান্য আরো ক্ষুদ্র প্রাণী খাদ্য হিসাবে খেয়ে থাকে।এরা এদের ঠোঁটের কারণেই এসব প্রাণীদের শিকার করে থাকে। এভাবে এরা নিজেদের খাদ্য তালিকা ঠিক রাখে।
পরিশেষে, বিভিন্ন ধরনের বিদেশী প্রজাতির হাঁসদের সম্পর্কে জানা গেল। আপনাদেরও যদি অন্যান্য আরো প্রজাতির হাঁস দের জানা থাকে তাহলে তাদের নাম কিংবা তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। লেখাটি পড়ে কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাবেন এবং কমেন্ট বক্সে আপনাদের ইচ্ছামতো যেকোনো কমেন্ট করতে পারেন। লেখাটি অবশ্যই আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন; সুস্থ থাকুন। আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।