আকাশে উড়তে পারা প্রানীগুলো খেচর প্রানী নামে পরিচিত। পাখি আকাশে উড়ে বেড়ায় এটি আমরা সবাই জানি এবং দেখে থাকি। শুধুমাত্র উটপাখি উড়তে পারে না। বরং এরা আকাশে উড়ার পরিবর্তে মাটির উপরে দৌড়ায়। কিন্তু এই পাখি গুলো যদি পানির নিচে সাঁতার কাটা শিখে নিয়ে সাঁতার কাটতে পারে তাহলে এই বিষয়টি শুনে অনেকের অবাকও লাগতে পারে। কারন মাছ পানির নিচে মুক্তভাবে সাঁতার কাটে থাকে। পাখিরা সর্বোচ্চ পানির উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে।
কিন্তু বাস্তবে এমন প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যাদের সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা আছে। অথবা তাদের সম্পর্কে নাম জানলেও বিস্তারিত জানিনা। কিন্তু সেসব পাখিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যই আজকের আর্টিকেলে সেসব পাখিদের সম্পর্কেই তুলে ধরব। পানিতে সাঁতার কাটার নিয়ম রয়েছে। অন্য যে কোম প্রানীর সাঁতার কাটা একটি কিংবা দুটি নির্দিষ্ট নিয়মে হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ সাঁতার শিখার সময় কয়েকটি নিয়মেও চাইলে সাঁতার কাটা শিখতে পারে। পানির নিচে যেসব পাখি সাঁতার কাটতে পারে তা নিচে তুলে ধরা হল।
পেঙ্গুইন পাখিঃ
সকলের পছন্দের পাখি পেঙ্গুইন। দেখতে সুন্দর পাখি হওয়ার কারনে সবাই পছন্দ করে এবং নিরীহ প্রকৃতির পাখি। কিন্তু পেঙ্গুইন বরফের অঞ্চলগুলোতে বাস করে থাকে। এন্টার্কটিকা মহাদেশে এদের দেখতেপাওয়া যায়। ঐ মহাদেশ সর্বদাই বরফে আচ্ছাদিত থাকে এবং পানি বরফের নিচে থাকে। পেঙ্গুইন পানির মধ্যে দিয়ে সাঁতার কেটে উড়ে বেড়ায়। অন্য যে কোন প্রানীর জন্য ঐ রকম পরিবেশে সাঁতার কাটা কিংবা পানির মধ্যে চলাফেরা করা অসম্ভব হলেও পেঙ্গুইন ঠিকই চলতে পারে। এদের শরীর ঐ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। পেঙ্গুইনরা নিজেদের উষ্ণ রাখার জন্য এরা কাছাকাছি অবস্থান করে।
বিধায় এদের শরীর গরম থাকে। পেঙ্গুইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
পাফিন পাখিঃ
পাফিন সবচেয়ে ছোট প্রকৃতির দ্রুতগতির পাখি এবং এরা এক্সপার্ট সুইমার। এই সুন্দর পাখির ছবি এবং গায়ের রঙের সাথে পেঙ্গুইনের যথেষ্ট মিল আছে। পেঙ্গুইন এর মত এরাও উড়তে এবং সাঁতার কাটতে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে এরা উড়ার সময় প্রতি মিনিটে ৪০০ বার ডানা ঝাপটিয়ে থাকে। হামিং বার্ড পাখি পৃথিবীর ক্ষুদ্রত ম পাখি। আপনি ইউটিউবে যদি হামিং বার্ড নামের সুন্দর পাখির ভিডিও দেখেন তাহলে খেয়াল করবেন তারাও অতি অল্প সময়ে খুব বেশি পরিমান ডানা ঝাপ্টায়।
পানির নিচে সাঁতার কাটা হাঁসঃ
অন্যা যে কোন পাখির চেয়ে এরা পানিতেই সর্বদা ভেসে বেড়ায়।কিন্তু পানিতে ভেসে বেড়ালেও এরা উড়তে পারে। প্রয়োজনে অথবা বিপদে পড়লে ঐ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য উড়ে যায়। শুধুমাত্র উড়তে পারার কারনে হাঁসকে জলজ প্রানীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করে পাখিদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়াও জলজ প্রানীগুলো ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় ( যেমনঃ মাছ ) কিন্তু হাঁস বাতাস থেকে অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়।
এই কারনেও হাঁসকে পাখিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাঁস পানিতে ভেসে বেড়ানোর সময় এরা মাঝে মাঝে পানির নিচে ডুব দেয় কিছু দূর গিয়ে আবার মাথা তুলে। শত্রুর হাঁত থেকে বাঁচার জন্য এরা এমন করে। এছাড়াও পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় এরা যখন ডুব দেয় তখন এরা ঠোঁট দিয়ে পানি নিজেদের শরীরের উপরে ছিটিয়ে দেয়। কিন্তু এদের শরীর ভিজে না।
পরিশেষে, উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে পাখিরাও পানির নিচে কিংবা উপরে সাঁতার কাটতে পারে। তবে এই কাজ তারা সর্বাদাই করে থাকে না। ম্যাক্সিমাম সময়ে এরা খাদ্য সংগ্রহে জন্য এমন ভাবে সাঁতার কেটে শিকার ধরে। পেঙ্গুইন এই কাজ প্রায়ই করে থাকে এবং পানির নিচ থেকে মাছ খাবারের জন্য ধরে আনে।