উভচর প্রানী প্রানী জগতের একটি বিশেষ শ্রেনী। প্রাণীদের বিভিন্ন কিছুর উপর ভিত্তি করে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে উভচর প্রাণী উল্লেখযোগ্য। এদের উভচর প্রাণী বলার কারণ হলো এরা জীবন যাপন করতে কিছু সময় জলে এবং কিছু সময় স্থলে বসবাস করে। উভয় জায়গাতেই এদের সার্ভাইভ স্কিল অনেক ভালো। এজন্য এদের উপর প্রাণী বলা হয়। আমাদের চারপাশে অনেক প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। কিছু দেখতে সুন্দর এবং কিছু অসুন্দর। কিন্তু কিছু বিশেষ প্রজাতি আছে যাদের নির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
আমেরিকান ব্যাঙঃ
এদের নর্থ আমেরিকায় পাওয়া যায়। এরা পানিতে এবং কাদাযুক্ত স্থানে সর্বদা থাকলেও এরা পানি পান করে না বরং এদের ত্বকের মাধ্যমে পানি শোষণ করে। এতে করে এদের শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে ।শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য এদের নিজস্ব অস্ত্র রয়েছে। এদের একপ্রকার গ্রন্থি থেকে বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় যা প্রয়োজনের সময় শত্রু দিকে ছুঁড়ে দেয়।
উভচর প্রানীঃ
মানুষ হাঁটতে পারে এ কথা আমরা জানি কিন্তু মাছ হাঁটতে পারে বিষয়টা কেমন অদ্ভুত। তাই না? কিন্তু এমনটি বাস্তবে হয়। মেক্সিকো সিটির উপকূলে বিভিন্ন বিল এবং লেকের মধ্যে এরা বাস করে। এরা পানিতেও থাকতে পারে আবার মাঝে মাঝে তীরে পাথরের উপরে চলাচল করতে পারে। মাছ জলজ হলেও এরা উভচর প্রানী এর অর্ন্তভুক্ত।
সুন্দরী ব্যাঙঃ
দেখতে অনেক সুন্দরী হলেও এরা অত্যান্ত বিষাক্ত। কেউ যদি এদের ধরা বা খাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে এদের ত্বকে টক্সিক জাতীয় পদার্থ থাকার কারণে যে কেউ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে। কিন্তু সৌন্দর্য তুলনায় অন্য যেকোনো ব্যাঙ থেকে এরা এগিয়ে।
ক্রিকেট ব্যাঙঃ
এরা অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে কম সময় বেঁচে থাকে। কিন্তু এদের অসামান্য দক্ষতার কারণে আলোচনার শীর্ষে সর্বদা থাকে। এদের আকার এত ক্ষুদ্র হলেও এরা লাফাতে পারদর্শী।লাফানো প্রাণী সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন। এরা লাফিয়ে সর্বোচ্চ তিন ফিট উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অন্যা কোন উভচর প্রানী এত উঁচুতে লাফাতে পারে না।
নেওটঃ
এরা দেখতে অনেকটা টিকটিকির বাচ্চার মত। কিন্তু আকারে ছোট হলেও এদের সম্পূর্ণ শরীর বিষাক্ত এবং শিকারি যদি এদের স্বীকার করতে চায় তাহলে টক্সিক পদার্থ শিকারি শরীরে প্রবেশ করিয়ে তাকে প্যারালাইজ করে দিতে পারে। এদের শরীরের রং লাল এবং কমলা সংমিশ্রণ। সহজ কথায় এরা দেখতে আগুনের মত। এরা উভচর প্রানী এর অর্ন্তভুক্ত।
সোনালী ব্যাঙঃ
এদের সম্পূর্ণ নাম সোনালী ম্যান্টল ফ্রগ। এদের শরীরের রং খাঁটি সোনার মতো এবং আকারে অত্যন্ত ছোট হওয়ায় দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। এদের মাদাগাস্কার দ্বীপ এ পাওয়া যায়।তবে এদের শরীরের রং এর বিভিন্ন ভ্যারাইটি রয়েছে।
ডোরাকাটা ব্যাঙঃ
ডোরাকাটা বাঘ আমরা সবাই চিনি চিনি কিন্তু হালকা সবুজ এবং কালোর ডোরাকাটা সংমিশ্রণে এদের শরীরের রং। তবে ডোরাকাটা বাঘ দেখতে যেমন আকর্ষনীয় এরাও ঠিক ততটাই আকর্ষণীয়। এদের হাওয়াই দ্বীপে দেখতে পাওয়া যায়।
লেপার্ড ফ্রগঃ
এদের আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এরা নিজেদের বাড়ি তৈরি করে এবং গরমের সময় সেখানে অবস্থান করে। এমনকি শীতকালেও তারা তাদের ঘরকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য যে শীতকাল এদের প্রজননের সময়।
উড ফ্রগঃ
ব্যাঙ আমাদের চারপাশে বসবাস করলেও এ প্রজাতির ব্যাঙ শুধুমাত্র উত্তর মেরু অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এরা ২৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় বেঁচে থাকে। যেহেতু এই তাপমাত্রায় যেকোনো কিছু বরফে পরিণত হয় সেহেতু এরাও বরফের গ্লেসিয়ারের মধ্যে দীর্ঘকাল এর জন্য জীবিত অবস্থায় আটকা পড়ে থাকে। শীত শেষ হয়ে গেলে পুনরায় তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
পরিশেষে, দক্ষ লাফানো প্রাণীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এত কিছুআলোচনার পর বুঝা গেল, উভচর প্রানী যতই সুন্দর হোক এরা ফেয়ার এন্ড লাভলি কিংবা ফেয়ার এণ্ড হ্যাণ্ডসাম ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে না। লেখাটি পড়ে কেমন লাগল এবং এ সম্পর্কে আপনাদের মতামত কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে শেয়ার করুন।