সুন্দর প্রানী এর সমন্বয়ে আমাদের প্রকৃতি গঠিত।আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল।প্রচণ্ড দাবদাহের পর বর্ষাকালের শুরুতে প্রকৃতিতে নতুন রূপে যেন প্রাণ ফিরে পায়।সবকিছু সামলে ভরে ওঠে।এ সময় প্রকৃতি যেমন নতুন ভাবে নিজেকে তুলে ধরে একই সাথে প্রকৃতির পরিবেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী আবির্ভাব ঘটে।যা সচরাচর অন্য ঋতুতে দেখা যায় না।বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময় বৃষ্টি হয় এজন্য রাস্তাঘাটে অনেক কিছুই পানির নিচে তলিয়ে যায়। কিন্তু গ্রামীণ জীবনে বৃষ্টির পরবর্তী আবহাওয়া মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেয়।
এ জন্যই বর্ষাকাল কিছু মানুষের নিকট অতি প্রিয়।এসময় বিভিন্ন ধরনের সুন্দর প্রানী আমাদের আশেপাশে দেখতে পাওয়া যায়।এখানে বলে রাখা ভালো যে, বর্ষাকাল যেকোনো বড় বন জঙ্গলের জন্য তথা গাছের বৃদ্ধি এবং বনের প্রসারে বিরাট ভূমিকা রাখে।আজকে আমরা বর্ষাকালে কিছু সুন্দর প্রানীদের সম্পর্কে জানব যা সচরাচর অন্য সময় দেখতে পাওয়া যায় না।চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পিট ভাইপার সাপঃ
সবচেয়ে বিষাক্ত প্রজাতির সাপদের মধ্যে এরা উল্লেখযোগ্য।তবে বর্ষাকালে অন্যান্য ঋতুর হতে সবচেয়ে বেশি সাপ দেখতে পাওয়া যায়।কেননা সাপ পানির মধ্যে সহজেই চলাফেরা করতে পারে এবং বাস করে।এজন্য বর্ষাকাল তাদের জন্য অনেক উপকারী হয়।মাঝে মাঝে বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড়ে পানিতে সাপের দেখা মিলে।এদের মালাবার অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় এবং পাহাড়ি ঝর্ণার আশেপাশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা থাকে।
বেগুনি ব্যাঙঃ
আমাদের আশেপাশে আমরা ব্যাঙ দেখে থাকি তবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কোলা ব্যাঙ।কিন্তু বেগুনি ব্যাঙ বা পার্পল ফ্রগ সহজেই আমরা দেখতে পাই না।এদের সব জায়গায় পাওয়া যায় না।বরং এই প্রজাতির সংখ্যা দিন দিন কমছে।ফলে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রানীদের নিয়ে গবেষণা করার যে, কমিটি রয়েছে তারা এই প্রজাতির ব্যাঙ বিলুপ্ত প্রায় প্রানী হিসাবে উল্লেখ করেছে।
সুন্দর প্রানীঃ
এদের আকার-আকৃতির কারণে এমন নামকরণ করা হয়েছে।কেননা এদের মাথা দেখতে অনেকটা হাতুড়ির মত দেখায়।প্রকৃতপক্ষে এরাই একধরনের পরজীবী কিন্তু এদের বৈশিষ্ট্য অন্যান্য পরজীবীদের থেকে সামান্য আলাদা।আমরা হয়তো পরজীবী অত্যন্ত ক্ষুদ্র আমি মনে করি কিন্তু ছবিতে উল্লেখ্য পোকার মতও হতে পারে।এদের হাতুড়ে কৃমি বলা হয়।
গ্যালাপোগাস দ্বীপের আকর্ষনীয় প্রানীসমূহ
ঘুঘরি পোকাঃ
এই পোকার সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত।কেননা আমাদের চারপাশের শহরে কিংবা গ্রামে যে স্থানে হোক না কেন এর দেখা মেলে।এদের বিশেষ করে জমিতে দেখতে পাওয়া যায়।কারন এরা খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতা খেয়ে থাকে।এরা দেখতে ঘাসফড়িং এর মত।মজার বিষয় হলো রাতের বেলা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যদি যাওয়া হয়,তাহলে এক ধরনের শব্দ করে থাকে যা শুধু নিস্তব্ধ রাতে বুঝতে পারা যায়।
গ্লাইডিং ফ্রগঃ
গ্লাইডিং শব্দের অর্থ হলো কোন জায়গা অথবা তলের উপর দিয়ে তার সাথে স্পর্শ করে চলা।সাধারনভাবে বুঝতে হলে যেকোনো কাঁচের উপর যদি পানি দেওয়া হয় তাহলে পানি একসময় কাছে তবে নিচের দিকে পড়তে থাকেে।এই বিষয়টি গ্লাইডিং।বিভিন্ন ধরনের পরজীবী গ্লাইডিং পদ্ধতিতে চলাফেরা করে।
অন্যান্য প্রজাতির ব্যাঙ লাফিয়ে বেড়ালেও এই প্রজাতির ব্যাঙ গাছের পাতা বা যে কোন তালের উপর গ্লাইডিং করার মাধ্যমে চলাফেরা করে থাকে।খুব অল্প সময় এরা লাভ দিয়ে থাকে।এজন্য এরা অন্যান্য ব্যাংক থেকে আলাদা এবং এদের শুধুমাত্র বর্ষাকালেই দেখতে পাওয়া যায়। বর্ষাকালে কোন ব্যাঙ ডাকে তা কি আমরা জানি?
পরিশেষে বর্ষাকালে আরো অনেক সুন্দর প্রানীর দেখা মেলে।কিন্তু সব প্রানী সম্পর্কে একবারে জানা সম্ভব নয়।অন্যান্য সুন্দর প্রানীদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন। লেখাটি পড়ে কেমন লাগলো তা জানাতে কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। সুন্দরবনেও এমন অনেক বিচিত্র রকমের প্রানীদের দেখা মিলে।